OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে জেনে নিন

আজকের আর্টিকেলটি খুবই ইন্টারেস্টিং কেননা আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে এই বিষয়ে এবং এর সাথে জড়িত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার  করবো। তাই ভ্রমন পীপাসুদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক হবে।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে জেনে নিন

আজকে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে, বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে, কত সময় লাগে, এর সুবিধা এবং অসুবিধা সহ আরো বিস্তারিত অনেক তথ্য। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে জানুন এবং আপনার মালদ্বীপ ভ্রমণ সহজ করুন।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেটা অনেকেই জানে না। বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ, উভয়ই ভারত মহাসাগরের কোলে অবস্থিত দুটি ভিন্ন প্রকৃতির দেশ। একটি জনবহুল ব-দ্বীপ এবং অন্যটি ছোট ছোট দ্বীপের সমষ্টি। এই দুই দেশের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব কতটুকু, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জানতে পারে। 

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার

সরাসরি স্থল সীমান্ত না থাকায়, এই দূরত্ব সাধারণত আকাশ পথ বা সমুদ্রপথের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।

  • ভৌগলিক অবস্থানঃ বাংলাদেশ একটি জনবহুল ব-দ্বীপ, যা দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বে অবস্থিত। অন্যদিকে, মালদ্বীপ ছোট ছোট দ্বীপের সমষ্টি নিয়ে একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যা ভারত মহাসাগরের কেন্দ্রে অবস্থিত। উভয় দেশই ভারত মহাসাগরের পূর্ব অংশে অবস্থিত হলেও, তাদের ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন মেরুতে।
  • দূরত্বের পরিমাপের পদ্ধতিঃ সরাসরি কোন স্থল সীমান্ত না থাকায়, এই দূরত্ব সাধারণত আকাশ পথ বা সমুদ্র পথের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।
  • আকাশ পথে দূরত্বঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে মালদ্বীপের রাজধানীর মাল পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইটের দূরত্ব প্রায় ১৬০০ থেকে ১৭০০ কিলোমিটার (প্রায় ৯৯০ থেকে ১০৫৫ মাইল)।এটি একটি আনুমানিক হিসাব, কারণ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের উড়ান পথ এবং কারিগরি কারণে এই দূরত্ব কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। বিমানে এই পথ পাড়ি দিতে সাধারণত ২.৫ থেকে ৩.৫ ঘন্টা সময় লাগে, যা উড়ানের গতি এবং বিরতির উপর নির্ভরশীল।
  • সমুদ্রপথে দূরত্বঃ সমুদ্রপথে দূরত্ব অনেক বেশি এবং এটি নির্ভর করে জাহাজ বা নৌযাহানের গতি এবং যাত্রা পথের উপর। বাণিজ্যিক জাহাজ গুলো সাধারণত দীর্ঘ পথ ঘুরে যায় এবং আবহাওয়া ও সমুদ্রের অবস্থার কারণে যাত্রা সময় অনেক বেশি লাগতে পারে। সরাসরি কোন ফেরি সার্ভিস না থাকায়, পর্যটকদের জন্য বিমান পথই সবচেয়ে সুবিধা জনক এবং দ্রুততম উপায়।
  • পারস্পরিক সম্পর্কঃ ভূ-রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপ উভয়ই সার্বভুক্ত দেশ। ভৌগলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং পর্যটন খাতে সম্পর্ক বিদ্যমান। মালদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাংলাদেশের অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করে এবং বাংলাদেশের শ্রমবাজারও মালদ্বীপের উন্নয়নের ভূমিকা রাখে।

উপর আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে একটা কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের ভৌগলিক দূরত্ব তাদের পারস্পরিক সম্পর্কে কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বরং বিমান যোগাযোগ সহজলভ্য হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত দিন দিন আরো সহজ হচ্ছে। 

মালদ্বীপ সম্পর্কে কিছু কথা

ভারতের মহাসাগরের বুকে অবস্থিত মালদ্বীপ ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি মনোমুগ্ধকর দেশ। এটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য এটিকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।মালদ্বীপ রায় ১২০০ টি ছোট ছোট প্রবাল দ্বীপ এবং বালিয়াড়ি নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে প্রায় ২০০টি  দ্বীপে জনবসতি রয়েছে। এই দ্বীপগুলো ২৬টি প্রাকৃতিক অ্যাটলে বিভক্ত, যা একটি নাম্বার চেইনের মত ভারত মহাসাগরের উপর বিস্তৃত।

মালদ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে নিচু দেশ, এর সর্বোচ্চ বিন্দু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১.৮ মিটার(৬ ফুট) উপরে। যা এই দ্বীপকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকের মুখে ফেলেছে।

পর্যটন মালদ্বীপের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বিলাসবহুল রিসোর্ট এর জন্য সুপরিচিত। যেখানে প্রতিটি রিসোর্ট প্রায়শই একটি সম্পূর্ণ দ্বীপ দখল করে  থাকে। এছাড়াও মৎস্য শিকার এখানকার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মালদ্বীপের সংস্কৃতি ভারতীয়, শ্রীলংকান, আরব এবং মালয়েশীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ। এখানকার সরকারি ভাষা ধীবেহী, তবে ইংরেজিও বহুল পরিচিত। ইসলাম মালদ্বীপের রাষ্ট্রধর্ম এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব স্পষ্ট।মালদ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হল এর স্ফটিক স্বচ্ছ ফিরোজা রঙের জল, সাদা বালির সৈকত এবং মনোমুগ্ধকর প্রবাল প্রাচীর। স্কুবা ডাইভিং এবং স্নরকেলিংয়ের জন্য এটি বিশ্বের সেরা গন্তব্য গুলির মধ্যে একটি। কারণ এখানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রিক জীবন এবং রঙিন প্রবাল দেখা যায়।

সব মিলিয়ে মালদ্বীপ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য পর্যটকদের কাছে একটি স্বপ্নের গন্তব্য।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে সাধারণভাবে বলা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার খরচ নির্ভর করে মূলত আপনার চলাফেরা, থাকা-খাওয়া ইত্যাদির ধরনের উপর। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

  • বিমান ভাড়াঃ সাধারণত ঢাকা থেকে মালদ্বীপের মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ভেলানা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট) পর্যন্ত বিমান ভাড়া ২৫০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। ভ্রমনের তারিখ, এয়ারলাইনস এবং টিকিট কত আগে কাটা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এই ভাড়া পরিবর্তিত হয়। ছুটির দিন বা পিক সিজনে ভাড়া বেশি থাকে। ট্রান্সজিট ফ্লাইটগুলো (যেমন-শ্রীলংকা বা ভারতের মাধ্যমে) সরাসরি ফ্লাইটের চেয়ে কিছুটা কম ব্যয়বহুল হতে পারে, তবে এতে সময় বেশি লাগে।
  • আবাসন খরচঃ মালদ্বীপে থাকার খরচ অনেক বেশি, বিশ্বাস করে রিসোর্টগুলোতে। প্রতি রাতের জন্য ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি লাগতে পারে। গেস্ট হাউস বা স্থানীয় দ্বীপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম খরচে থাকা যায়। যা ৪০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি রাত হতে পারে। বাজেটের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের আবাসন বেছে নেওয়া যায়।
  • খাবার খরচঃ প্রতিদিন খাবার বাবদ ২,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা বা তার দেশে খরচ হতে পারে, যা নির্ভর করে আপনি কোথায় খাচ্ছেন তার উপর। রিসোর্টে খাবারের দাম বেশি। স্থানীয় রেস্তোরাঁয় খাবারের খরচ কম হবে।
  • যাতায়াত (মালদ্বীপের অভ্যন্তরে)ঃ মালদ্বীপে বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোট, ফেরি বা সি প্লেন ব্যবহার করা হয়। সি প্লেনের ভরা অনেক বেশি, এর ভাড়া একমুখী যাত্রায় প্রায় ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ফেরি অনেক সাশ্রয়ী কিন্তু সময় বেশি লাগে।
  • ভিসাঃ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা রয়েছে, যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। তাই ভিসার জন্য আলাদা কোনো খরচ লাগে না।

মোট আনুমানিক খরচঃ সবকিছু মিলিয়ে মালদ্বীপে ৫-৭ দিনের একটি ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি আনুমানিক ৭৫,০০০ টাকা থেকে ২,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি খরচ হতে পারে। এই খরচ আপনার ভ্রমণের ধরন এবং বিলাসবহুলতার ওপর নির্ভরশীল।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কতক্ষণ সময় লাগে তা নির্ভর করে আপনি কোন এয়ারলাইন্স এবং কোন ধরনের ফ্লাইট বেছে নিচ্ছেন তার উপর। আসুন পুরো বিষয়টা বিস্তারিতভাবে জেনে নিন-

  • সরাসরি ফ্লাইটঃ ঢাকা থেকে মালদ্বীপের রাজধানীর মালের পর্যন্ত সরাসরি ফ্ল্যাট গুলো সাধারণত প্রায় ৪ ঘন্টা থেকে ৪.৫ ঘন্টা সময় নেয়। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে মানে পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এটি সবচেয়ে দ্রুততম উপায় মালদ্বীপে পৌছানোর জন্য।
  • ট্রান্সজিট ফ্লাইটঃ অনেক এয়ারলাইন সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে না বরং এক বা একাধিক স্টপওভার (ট্রান্সজিট) সহ ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই ফ্ল্যাট গুলোতে সময় অনেক বেশি লাগে।উদাহরণস্বরূপ- শ্রীলংকান এয়ারলাইন কলম্বো হয়ে গেলে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা বা তার বেশি সময় লাগতে পারে কারণ এর মধ্যে কলম্বোতে স্টপওভারের সময়ও অন্তর্ভুক্ত থাকে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বা ইন্দিগোর মতো এয়ারলাইন্স গুলো আরো বেশি সময় নিতে পারে। এই এয়ারলাইন্স গুলোতে ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এটা অবশ্য তাদের স্টকওভারের সময়কাল ও গন্তব্যের উপর নির্ভর করে।
  • সময় নির্ধারণকারি বিষয় সমূহঃ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের রুটিন এবং স্টাফ ওভারের ধরন ভিন্ন হয় এর সময় নির্ধারণও ভিন্ন হয়। ফ্লাইটে যত বেশি স্টার প্রভাব থাকবে এবং প্রতিটি স্টপওভারের সময়কাল যত বেশি হবে গন্তব্যে পৌঁছাতে তত বেশি সময় লাগবে। আবার বিরূপ আবহাওয়া বা অপ্রত্যাশিত কোনো কারনে ফ্লাইটের সময় বিলম্ব হতে পারে।

অতএব বলা যেতে পারে, বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে সরাসরি ফ্লাইটে ৪ থেকে ৪.৫ ঘন্টা সময় লাগে, তবে ট্রান্সজিট ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে ৭ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার সুবিধাসমূহ

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এই সব সুবিধাগুলো মালদ্বীপকে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য এটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। নিচে এর প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • ভৌগোলিক নৈকট্যঃ বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব তুলনামূলক কম। এটি বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় যাতায়াত সহজ হয়।
  • সরাসরি ফ্লাইটঃ ঢাকা থেকে মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এমএলই) পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়। এতে সময় বাঁচে এবং যাত্রাপথ আরামদায়ক হয়। ফ্লাইট সময় সাধারণত ২-৩ ঘন্টা হয়ে থাকে।
  • অন-অ্যারাইভাল ভিসাঃ মালদ্বীপ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা প্রদান করে। এর অর্থ হলো- পূর্ব থেকে ভিসার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হয় না। মালদ্বীপে পৌঁছানোর পরই ভিসা পাওয়া যায়। এই পদ্ধতি মালদ্বীপ ভ্রমণের প্রক্রিয়াকে  অত্যন্ত সরল করে তোলে।
  • দৃষ্টি নন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ মালদ্বীপ তার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। স্ফটিক স্বচ্ছ নীল জলরাশি,  সাদা বালির সৈকত এবং উন্নতমানের কোরাল রিফ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এর ফলে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হওয়ার এক অনন্য সুযোগ মেলে।
  • বিভিন্ন বাজেটের জন্য উপযোগীঃ মালদ্বীপে বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে শুরু করে স্থানীয় গেস্ট হাউস পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের আবাসন সুবিধা রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন বাজেটের পর্যটকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী থাকার ব্যবস্থা বেছে নিতে পারেন। অনেক সাশ্রয়ী মূল্যের ট্যুর প্যাকেজও পাওয়া যায়।  
  • জলক্রীড়া ও বিনোদনঃ মালদ্বীপ স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং, সার্ফিং এবং বিভিন্ন ধরণের জলক্রীড়ার জন্য বিখ্যাত। এসব কার্যক্রম পর্যটকদের জন্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদান করে। 
  • নিরাপত্তা ও শান্ত পরিবেশঃ মালদ্বীপ একটি অত্যন্ত নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। পর্যটকরা এখানে নির্ভাবনায় ছুটি ব্যবহার করতে পারেন। 

সুতরাং সরাসরি ফ্লাইট, অন-অ্যারাইভাল ভিসা, আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন বাজেটের উপযোগী বিকল্পের কারণে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমন একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক ও আনন্দদায়ক  অভিজ্ঞতা হতে পারে। 

মালদ্বীপের কয়েকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান

মালদ্বীপের পর্যটন স্থানগুলো সবসময় পর্যটকদের জন্য ভীষণ পছন্দনীয়। । মালদ্বীপ তার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বিলাসবহুল অবকাশ যাপনের জন্য পরিচিত। আপনাদের জন্য মালদ্বীপের বেশ কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

  • মালেঃ মালদ্বীপের রাজধানী মালে একটি ব্যস্ত শহর। যেখানে আধুনিক ভবন এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখা যায়। এখানে ইসলামিক সেন্টার, গ্র্যান্ড ফ্রাইডে মসজিদ, মানে মাছ বাজার এবং জাতীয় জাদুঘর উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান। এটি মালদ্বীপের সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্র।
  • হুলহুমালেঃ হুলহুমালে একটি কৃত্রিম দ্বীপ যা মালের নিকটবর্তী এবং ভিলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছে অবস্থিত। এর সমুদ্র সৈকত, স্বল্প মূল্যের হোটেল এবং রেস্তোরাঁ এটিকে পর্যটকদের জন্য একটি সুবিধা জনক স্থান করে তুলেছে।
  • মাফুশি দ্বীপঃ মালদ্বীপের স্থানীয় দ্বীপগুলোর মধ্যে মাফুশি বেশ জনপ্রিয়। এখানে বিলাসবহুল রিসটের পরিবর্তে বাজেট-বান্ধব গেস্টহাউস রয়েছে। এটি ওয়াটার স্পোর্টস যেমন-স্নোর কেলিং, স্কুবা ডাইভিং এবং সার্ফিং এর জন্য বিখ্যাত। এখানে 'বিকিনি বিচ' নামে নির্ধারিত সৈকতও রয়েছে।
  • বাথথালা আইল্যান্ডঃ বাথথালা আইল্যান্ড একটি ছোট, ব্যক্তিগত দ্বীপ যেখানে একটি বিখ্যাত রিসোর্ট রয়েছে। এর প্রবাল প্রাচীর গুলো স্কুবা ড্রাইভিং এবং স্নোর কেলিংয়ের জন্য চমৎকার।
  • বানানা রিফঃ উত্তর মালে অ্যাটালে অবস্থিত বানানা রিফ। ইতি মালদ্বীপের অন্যতম সেরা ডাইভিং সাইট। এর প্রাণবন্ত প্রবার প্রাচীর এবং সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন ডাইভারদের কাছে মা খুব আকর্ষণীয়। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, হাঙর এবং রে ফিসের দেখা মিলে। 
  • রিসোর্ট আইল্যান্ডসমূহঃ মালদ্বীপ অসংখ্য বিলাসবহুল রিসোর্ট আইল্যান্ডের জন্য পরিচিত।যেমন-বারোস আইল্যান্ড, কনরাড মালদ্বীপ রেঙ্গালি আইল্যান্ড (যেখানে ইঠা আন্ডারসি রেস্টুরেন্ট আছে), ভাধু আইল্যান্ড (যার বায়োলুমিনেসেন্ট সৈকত বিখ্যাত)। এই রিসোর্ট গুলো নিজস্ব সৈকত, স্পা, এবং বিভিন্ন জলক্রীড়ার সুবিধা প্রদান করে।

এই স্থানগুলো মালদ্বীপের বৈচিত্রময় সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ তুলে ধরে যা প্রতিটি পর্যটকের জন্য অবিস্মরণীয় নিয়ে অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ গিয়ে কোন কারেন্সি ব্যবহার করবেন

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে কোন মুদ্রা ব্যবহার করবেন তা নিয়ে অনেক পর্যটকদের মনে প্রশ্ন থাকে। মালদ্বীপের নিজস্ব মুদ্রা থাকলেও পর্যটকদের জন্য মার্কিন ডলারি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ও সুবিধাজনক। চলুন তাহলে জেনে নিন বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে গিয়ে আপনি কোন মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবেন। 

  • মার্কিন ডলারঃ মালদ্বীপের অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্র যেমন- রিসোর্ট, হোটেল, বড় দোকান এবং আন্তর্জাতিক রেস্টুরেন্টে মার্কিন ডলার ব্যাপকভাবে গৃহীত। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মূল্য তালিকাও ডলারে দেওয়া থাকে। বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোতে ডলারেই বিল পরিশোধ করা হয়। 
  • মালদ্বীপীয় রূফিয়াহ (এম ভি আর)ঃ মালদ্বীপের নিজস্ব মুদ্রা হলো মালদ্বীপীয় রূফিয়াহ (আর এফ)। এটি স্থানীয় বাজার, ছোট দোকান এবং স্থানীয় দ্বীপগুলোতে ছোটখাটো কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।কিছু রুফিয়াহ সঙ্গে দেখা ভালো তবে পর্যটনদের জন্য এটি অপরিহার্য নয়। 
  • ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডঃ মালদ্বীপের প্রায় সব বড় রিসোর্ট, হোটেল এবং দোকানে প্রধান ক্রেডিট কার্ড ( যেমন-ভিসা, মাস্টারকার্ড) এবং ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। এটি নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি কমায় এবং সুবিধাজনক। 
  • মুদ্রা বিনিময়ঃ মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং রাজধানী মালেতে ব্যাংক ও অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে রফিয়াহ তে ডলার বিনিময় করা যেতে পারে। তবে, ডলারের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে সাধারণত খুব বেশি রুফিয়াহ পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না।

মালদ্বীপে ভ্রমণের সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। এটি প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্রেই গৃহীত হয় এবং লেনদেন সহজ করে। বড় খরচ গুলো ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যায়। 

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার অসুবিধাসমূহ

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমনের বেশ কিছু সুবিধা থাকলেও, কিছু অসুবিধাও রয়েছে যা ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় বিবেচনা করা উচিত। নিচে কিছু প্রধান অসুবিধা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।

  • উচ্চ খরচঃ মালদ্বীপ বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল পর্যটন গন্তব্য। বিলাসবহুল রিসোর্ট খাবার এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যকলাপের খরচ অনেক বেশি হতে পারে। যা অনেক বাংলাদেশী পর্যটকদের বাজেটের বাইরে চলে যায়। বিশেষ করে পিক সিজনে (ডিসেম্বর -এপ্রিল) খরচ আরো বাড়ে। 
  • সীমিত স্থানীয় অভিজ্ঞতাঃ মালদ্বীপের বেশিরভাগ পর্যটন কার্যক্রম রিসোর্ট ভিত্তিক। এর ফলে স্থানীয় সংস্কৃতি বা জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সীমিত। যারা ভ্রমণের সময় স্থানীয় অভিজ্ঞতা পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি হতাশাজনক হতে পারে।  
  • ভ্রমণের সীমাবদ্ধতাঃ মালদ্বীপের প্রতিটি রিসোর্ট সাধারণত একটি নিজস্ব দ্বীপে অবস্থিত। ফলে এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যাতায়াত করা বেশ ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ হতে পারে। এর জন্য সি-প্লেন বা স্পিডবোটের প্রয়োজন হয় যার খরচ অনেক বেশি।
  • খাবারের উচ্চ মূল্য ও সীমাবদ্ধতাঃ মালদ্বীপে খাবারের দাম বেশ চড়া বিশেষ করে রিসোর্টগুলোতে। এছাড়া স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে। কিছু পর্যটকদের জন্য এটি একটি অসুবিধার কারণ। 
  • জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত উদ্বেগঃ মালদ্বীপ একটি নিচু দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে।যদিও এটি সরাসরি পর্যটকদের অসুবিধায় ফেলে না। তবে পরিবেশ সচেতন পর্যটকদের জন্য এটি একটি বিবেচনা বিষয় হতে পারে।
  • ভাষা বাধাঃ মালদ্বীপের দাপ্তরিক ভাষা দিভেহি। যদিও পর্যটন কেন্দ্রগুলতো ইংরেজি চলে। স্থনীয়দের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভাষা একটি বাধা হয়ে  দাঁড়াতে পারে।  

মালদ্বীপ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার জন্য জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেট অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে এই অসুবিধাগুলো কাটিয়ে আপনার জন্য একটি আনন্দদায়ক ভ্রমন সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমনের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে আপনার যাত্রা নিরাপদ ও মসৃণ হয়। আমাদের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে আপনি যাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার আগে যে সব সতর্কতা অবলম্বন করবেন সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। 

  • পাসপোর্টের মেয়াদঃ আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ মালদ্বীপের প্রবেশের কমপক্ষে ৬ মাস (কিছু উৎসে ১মাস বলা হয়েছে তবে ৬ মাস থাকা নিরাপদ) থাকতে হবে। নিশ্চিত করুন পাসপোর্টে কমপক্ষে ১টি ফাঁকা পৃষ্ঠা আছে।
  • ভিসাঃ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য মালদ্বীপে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা রয়েছে (৩০ দিনের জন্য)। এর জন্য পূর্ব থেকে ভিসার আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে প্রবেশের সময় আপনার ফেরত টিকিট, হোটেল বুকিংএর প্রমাণ এবং পর্যাপ্ত তহবিলের (প্রতিদিন ১০০-১৫০ মার্কিন ডলার) প্রমাণ দেখাতে হতে পারে।
  • ট্রাভেলার ডিক্লারেশন ফর্মঃ মালদ্বীপে পৌঁছানোর ৯৬ঘন্টা (৪দিন) আগে আপনাকে আইএমইউজিএ পোর্টালে 'ট্রাভেলার ডিক্লারেশন' ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিনামূল্যে পূরণ করা যায়। 
  • আবাসন বুকিং- মালদ্বীপে ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনার থাকার জায়গা (রিসোর্ট বা হোটেল) নিশ্চিত করে বুকিং করে রাখুন। ইমিগ্রেশনে এর প্রমাণ চাওয়া হতে পারে।
  • আর্থিক প্রস্তুতিঃ মালদ্বীপ বেশ ব্যয়বহুল। পর্যাপ্ত পরিমাণ মার্কিন ডলার (নগদ বা ক্রেডিট কার্ড) সঙ্গে রাখুন। আপনার ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট তহবিল আছে তার প্রমাণ চাওয়া হতে পারে।
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাঃ ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার কীট এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র সঙ্গে রাখুন। সাঁতারের সময় স্থানীয় নির্দেশিকা মেনে চলুন।
  • বীমাঃ ভ্রমণের আগে একটি উপযুক্ত ভ্রমণ বীমা করে নেওয়া ভালো, এটা জরুরী চিকিৎসা বা অন্যান্য অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
  • নিয়ম কানুনঃ মালদ্বীপ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। বিশেষ করে স্থানীয় দ্বীপগুলোতে ভ্রমণের সময় চালীন পোশাক পরিধানের চেষ্টা করুন। পর্যটন ভিসায় কোন ধরনের কাজ করা আইনত দন্ডণীয়।

উপরে উল্লেখিত সতর্কতা গুলো মেনে আপনি বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণে যান এবং আপনার বা আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সেই সাথে কোন ঝামেলা ছাড়াই আনন্দ দায়ক ভ্রমণ উপভোগ করুন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

উপরের আর্টিকেলে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার দূরে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মালদ্বীপের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সর্বদাই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সতর্কতা মাথায় রেখে আপনি আর আপনার পরিবারের লোকজন সবাই মিলে একসাথে মালদ্বীপে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।বাংলাদেশ থেকে কোন ঝামেলা ছাড়াই যেতে পারেন মালদ্বীপে এবং সেখানকার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করুন নিরাপত্তা ও আস্থার সাথে।

আশা করছি উপরে আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাঙ্খিত তথ্যগুলো নিশ্চয়ই পেয়েছেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুবান্ধবও পরিচালিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ও ইউনিক তথ্য পেতে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আর হ্যাঁ আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে পারেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪